‘এক্স’দের প্রকাশ্যে অপমান করেছিলেন এই তারকারা

শোবিজ জগতে ঘর ভাঙা-গড়া নিত্যদিনের ব্যাপার। প্রেমিক-প্রেমিকার হাতবদল হরহামেশাই হয়ে থাকে। বলিউডে এর ঢের উদাহরণ রয়েছে। যেখানে প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, লিভটুগেদার অনেকটা পান্তা ভাতের মতো। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর এক্সদের প্রতি অনেককে সহানুভূতিশীল হতে দেখা যায়, আবার কেউ কেউ ছায়াও মাড়াতে চাননা।

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর জনসমক্ষেই ‘এক্স’দের অপমান করেছিলেন বলিউড তারকারা এমন উদাহরণও আছে অসংখ্য। মিডিয়ার সামনেও করেছিলেন নানা কুরুচিকর মন্তব্য। সম্পর্কের রসায়নের চেয়েও তাদের ব্রেক-আপের কাহিনী নিয়ে অনেক বেশি চর্চা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহলে জেনে নিন এক্স বয়ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রন্ডরা কে কাকে কী বলেছিলেন…

১. ঐশ্বরিয়া রায়-সালমান খান
ঐশ্বরিয়া-সালমানের প্রেম ও বিচ্ছেদ ছিল এক সময় বি-টাউনের হট টপিক। ব্রেক-আপের পর সালমানের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছিলেন ঐশ্বরিয়া। তিনি বলেছিলেন, সালমান যখন তখন আমার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলত। আমায় সন্দেহ করত। নেশা করে এসে আমার গায়ে হাতও তুলেছে। তাই সম্পর্ক থেকে আমি বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।

২. শহিদ কাপুর-কারিনা কাপুর:
শহিদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার সময়েই সাইফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন কারিনা। ব্রেক-আপের পর শহিদ বলেছিলেন, বুঝতে পারছি আমি খুব ভাল বয়ফ্রেন্ড নই। তবে, কিছু পছন্দ কখনোই সঠিক হয় না। সম্পর্কে ইতি টানার পর দু’জনকে এক সঙ্গে অভিনয় করতেও দেখা যায়নি।

৩. সাজিদ খান-জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ:
জ্যাকুলিনের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো নাকি একেবারেই ভাল ছিল না! ব্রেকআপের পর জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন সাজিদ। বলেছিলেন, ‘আপনি নিশ্চয় এমন মেয়ে চাইবেন না যে সব সময় আপনাকে বিরক্ত করবে। হিম্মতওয়ালা ছবির শুটিংয়ের মাঝেই জ্যাকুলিনকে নিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতে যেতে হয়েছিল। তারপর, সিনেমাটা ফ্লপ করে।

৪. সাইফ আলী খান-অমৃতা সিংহ:
প্রায় ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরার পর প্রকাশ্যে প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সাইফ। তিনি বলেছিলেন, অমৃতার অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ অসহ্য। কেউ যদি আবিরাম আপনার মা ও বোনকে অপমান করে তা হলে কেমন লাগে? আমার সঙ্গে এ সব কিছুই হয়েছে। এর চেয়ে ভাল আমি একজন হট ও সেক্সি মেয়েকে বিয়ে করব।

৫. শিল্পা শেঠি-অক্ষয় কুমার:
রবিনার সঙ্গে ব্রেক-আপের পর অক্ষয়ের জীবনে এসেছিলেন শিল্পা। কিন্তু, সেই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। ব্রেক-আপের পর মিডিয়ার সামনে শিল্পা বলেছিলেন, অক্ষয় আমাকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। আমি জানি একদিন এর ফল ও পাবে। জানি অতীত ভোলা শক্ত, তবে আমি আমার জীবনে এগিয়ে গিয়েছি।

৬. হৃতিক রোশন-কঙ্গনা রানাউত:
কঙ্গনা-হৃতিকের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। কঙ্গনা নানাবিধ অভিযোগ আনলেও সম্পর্কের কথা একেবারেই অস্বীকার করেছিলেন হৃতিক। প্রকাশ্যে একে অপরের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তারা। বলিউডে গুঞ্জন হৃতিক-কঙ্গনার সম্পর্কের নানান কাহিনী সামনে আসার পরই নাকি হৃতিকের সঙ্গে প্রায় ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন সুজান।

৭. রণবীর কাপুর-দীপিকা পাড়ুকোন:
রণবীরকে নিয়ে নাকি খুবই পসেসিভ ছিলেন দীপিকা। দূরত্ব বাড়লেও নাকি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাননি তিনি। এরপর শোনা যায়, ‘রাজনীতি’ ছবির শুটিংয়ের সময় নাকি ক্যাটরিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল রণবীরের। আর তাই ব্রেক-আপের পর ‘কফি উইথ কর্ণ’ টক শো-এ এসে দীপিকা বলেছিলেন, রণবীরের যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হল কনডম।

৮. প্রীতি জিনতা-নেস ওয়াদিয়া:
২০১৪ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে খেলা চলাকালীন গ্যালারিতে দর্শকদের সামনেই প্রীতিকে হেনস্থা করেন নেস। ক্যামেরাবন্দি হয়ে সে দৃশ্য ভাইরালও হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রীতির দাবি ছিল, অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষায় তাকে আক্রমণ করেছিলেন নেস। তার বিরুদ্ধে হেনস্থা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রীতি।